চাতক বাঁচে কেমনে মেঘের বরিষণ বিনে।। তুমি হে নব জলধর চাতকিনী ম’লো এবার। ঐ নামের ফল সুফল এবার রাখ ভুবনে।। তুমি দাতার শিরোমণি আমি চাতক অভাগিনী। তোমা ভিন্ন আর না জানি রাখ চরণে।। চাতক ম’লে যাবে জানা ঐ নামের গৌরব রবে না জল দিয়ে কর সান্তনা অবোধ লালনে।। [...]
গোয়াল ভরা পুষনে ছেলে বাবা বলে ডাকে না। মনের দুঃখ মনই জানে সে অন্যে জানে না।। মন আর তুমি মানুষ দুইজন এই দু’জনাতেই প্রেমালাপন। কখন সুধার হয় বরিষণ কখন গরল পেয়ে যন্ত্রণা।। মন আর তুমি একজন হলে অনায়াসে অমূল্য মেলে। একজনাতে আর একজন এলে মুর্শিদরূপ হয় প্রকাশনা।। আশাসিন্ধুর কুলে লালন পাবার আশে অমূল্য ধন। [...]
মানুষতত্ত্ব যার সত্য হয় মনে। সেকি অন্য তত্ত্ব মানে।। মাটির ঢিবি কাঠের ছবি ভূত ভবিষ্যৎ দেবাদেবী। ভোলে না সে এসব রূপী মানুষ ভজে দিব্যজ্ঞানে।। জোরোই সরোই লোলা ঝোলা পেঁচাপেঁচী আলাভোলা। তাতে নয় সে ভোলনেওয়ালা যে জন মানুষ রতন চেনে।। ফেয়োফেপি ফ্যাকসা যারা ভাকা ভোকায় ভোলে তারা। লালন তেমনি চটামারা ঠিক দাঁড়ায় না একখানে।। [...]
মনের কথা বলবো কারে মন জানে আর জানে মরম মজেছি মন দিয়ে যারে।। মনের তিনটি বাসনা নদীয়ায় করবো সাধনা নইলে মনের বিয়োগ যায় না তাইতে ছিদাম এ হাল মোরে।। কটিতে কৌপীন পরিবো করেতে করঙ্গ নেবো মনের মানুষ মনে রাখবো কর যোগাবো মনের শিরে।। যে দায়ের দায় আমার এ মন রসিক বিনে বুঝবে কোনজন গৌর [...]
অনাদির আদি শ্রীকৃষ্ণনিধি তাঁর কি আছে কভু গোষ্ঠখেলা। ব্রহ্মরূপে সে অটলে বসে লীলাকারী তাঁর অংশকলা।। পূর্ণচন্দ্র কৃষ্ণ রসিক সে জন শক্তিতে উদয় শক্তিতে সৃজন। মহাভাবে সর্বচিত্ত আকর্ষণ বৃহদাগমে তাঁরে বিষ্ণু বলা।। সত্য সত্য স্মরণ বেদ আগমে কয় সচ্চিদানন্দ রূপে পূর্ণ ব্রহ্ম হয়। জন্মমৃত্যু যার নাই ভবের পর সে তো নয় স্বয়ং কভু নন্দলালা।। গুরুকৃপা [...]
গুণে পড়ে সারলি দফা করলি রফা গোলেমালে। ভাবলিনে মন কোথা সে ধন ভাজলি বেগুন পরের তেলে।। করলি বহু পড়াশোনা কাজে কামে ঝলসে কানা। কথায় তো চিড়ে ভেজে না জল কিংবা দুধ না দিলে।। আর কি হবে এমন জনম লুটবি মজা মনের মতন। বাবার হোটেল ভাঙবে যখন খাবি তখন কার বা শালে।। হায়রে মজা তিলে [...]
আহাদে আহাম্মদ এসে নবি নাম কে জানালে। যে তনে করিলে সৃষ্টি সে তন কোথায় রাখিলে।। আহাদ নামে পরওয়ার আহাম্মদ রূপে সে এবার। জন্মমৃত্যু হয় যদি তার শরার আইন কই চলে।। নবি যারে মানিতে হয় উচিৎ বটে তাই জেনে লয়। নবি পুরুষ কি সে প্রকৃতি কায় সৃষ্টির সৃজনকালে।। আহাদ নামে কেন রে ভাই মানবলীলা করিলেন [...]
দাঁড়া কানাই একবার দেখি কে তোরে করিল বেহাল হলি রে কোন দুখের দুখী।। পরনে ছিল পীত-ধড়া মাথায় ছিল মোহনচূড়া। সে বেশ হইলি ছাড়া বেহাল বেশ নিলি কোন সুখী।। ধেনু রাখতে মোদের সাথে আবাই আবাই ধ্বনি দিতে। এখন এসে নদীয়াতে হরির ধ্বনি দাও এ ভাব কী।। ভুল বুঝি পড়েছে ভাই তোর আমি সেই ছিদাম নফর। [...]
রসিক নাম ধরিয়ে মনা বেড়াও রে জগৎ মাতিয়ে। ভাব জান না ভাবুক রঙ্গা ভাঙলি রে মাটি গুতিয়ে।। নাদায় গুড় নাই রে মনা খাবরি ভোঁ ভোঁ করে উড়ে বেড়াও হলো না তোর সাবড়ি। গর্তে প’লি চুবনি খেলি তবু উঠিস কুতকুতিয়ে।। পেয়েছ জল সেচা এক চাকরি পড়িয়ে ধরি গেড়ে গুড়ি সেচে করলি আখরি। রসিক যারা চতুর [...]
সেই কালাচাঁদ নদেয় এসেছে। ও সে বাজিয়ে বাঁশি ফিরছে সদাই কুলবতীর কুলনাশে।। মজবি যদি কালার পিরিতি আগে জান গে যা তার কেমন রীতি। প্রেম করা নয় প্রাণে মরা অনুমানে বুঝিয়েছে।। ঐ পদে কেউ রাজ্য যদিও দেয় তবু কালার মন নাহি পাওয়া যায়। রাধা বলে কাঁদছে এখন তারে কতো কাঁদিয়েছে।। ব্রজে ছিল জলদ কালো কী [...]