অনুরাগ নইলে কি সাধন হয়। সে তো শুধু মুখের কথা নয়।। বনের পশু হনুমান রাম বিনে তার নাইরে ধিয়ান। কইট্ মনে মুদে নয়ন অন্যরূপ না ফিরে চায়।। তার সাক্ষী দেখ চাতকেরে তৃষ্ণায় জীবন যায় মরে তবু অন্য বারি খায় না রে থাকে মেঘের জল আশায়।। রামদাস মুচির ভক্তিতে গঙ্গা এল চামকেটোতে সে রূপ সাধল [...]
অনাদির আদি শ্রীকৃষ্ণনিধি তাঁর কি আছে কভু গোষ্ঠখেলা। ব্রহ্মরূপে সে অটলে বসে লীলাকারী তাঁর অংশকলা।। পূর্ণচন্দ্র কৃষ্ণ রসিক সে জন শক্তিতে উদয় শক্তিতে সৃজন। মহাভাবে সর্বচিত্ত আকর্ষণ বৃহদাগমে তাঁরে বিষ্ণু বলা।। সত্য সত্য স্মরণ বেদ আগমে কয় সচ্চিদানন্দ রূপে পূর্ণ ব্রহ্ম হয়। জন্মমৃত্যু যার নাই ভবের পর সে তো নয় স্বয়ং কভু নন্দলালা।। গুরুকৃপা [...]
অপারের কাণ্ডার নবিজী আমার ভজন সাধন বৃথা গেল আমার নবি না চিনে। নবি আউয়াল আখের জাহের বাতেন কখন কোন রূপ ধারণ করেন কোনখানে।। আসমান জমিন জলাদি পবন যে নবির নূরেতে সৃজন। কোথায় ছিল সে নবিজীর আসন নবি পুরুষ কি প্রকৃতি আকার তখনে।। আল্লাহ নবি দুটি অবতার গাছ বীজ দেখি যে প্রকার। সুবুদ্ধিতে কর তার [...]
অখন্ড মন্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচর। গুরু তুমি পতিত পাবন পরম ঈশ্বর।। ব্রহ্মা বিষ্ণু শিব তিনে ভজে তোমায় নিশিদিনে। আমি জানি নাকো তোমা বিনে তুমি গুরু পরাৎপর।। ভজে যদি না পাই তোমায় এ দোষ আমি দেবো বা কার। নয়ন দুটি তোমার উপর যা করো তুমি এবার।। আমি লালন একই শিরে ভাই বন্ধু নাই আমার জোড়ে। [...]
অমৃত মেঘের বারি মুখের কথায় কি মেলে। চাতক স্বভাব না হলে।। মেঘে কত দেয় গো ফাঁকি তবু চাতক মেঘের ভুখী। অমনি নিরিখ রাখলে আঁখি তারে সাধক বলে।। চাতক পাখির এমনি ধারা তৃষ্ণায় জীবন যায় গো মারা। অন্য বারি খায় না তারা মেঘের জল বিনে।। মন হয়েছে পবন গতি উড়ে বেড়ায় দিবারাতি। ফকির [...]
গুরু বস্তু চিনে নে না। অপারের কাণ্ডারি গুরু তা বিনে কেউ কুল পাবে না।। কি কার্য করিব বলে এ ভবে আসিয়াছিলে। কি ছার মায়ায় রইলি ভুলে সে কথা মনে প’ল না।। হেলায় হেলায় দিন গেল মহাকালে ঘিরে এলো। আর কখন কি করবি বল রংমহলে পড়লে হানা।। ঘরে এখন বইছে পবন হতে পারে কিছু সাধন। [...]
অবোধ মন তোরে আর কী বলি। পেয়ে ধন সে ধন সব হারালি।। মহাজনের ধন এনে, ছিটালি রে উলুবনে। কী হবে নিকাশের দিনে সে ভাবনা কই ভাবলি।। সই করিয়ে পুঁজি তখন আনলি রে তিন রতি এক মণ। ব্যাপার করা যেমন তেমন আসলে খাদ মিশালি।। করলি ভালো বেচাকেনা চিনলি না মন রাং কি সোনা। [...]