ফকির লালন সাইঁজী ঠিক যে সময় ছেঁউড়িয়ার আখড়ায় বসে ভাব সঙ্গীত রচনায় মগ্ন তখন চারণ কবি পাগলা কানাই দেশ দেশান্তরে ঘুরে ঘুরে আসরে আসরে গান গেয়েছেন। মরমীবাদী চিন্তাকে নিয়ে গেছেন আরো অনেক দূরে। ধুয়া জারির পদকর্তা পাগলা কানাই তিন সহস্রাধিক দেহতত্ত্ব, জারি, বাউল, মারফতি, ধুয়া, মুর্শিদী গানের স্রষ্টা। দেহতত্ত্ব কানাইয়ের গানের প্রধান উপজীব্য হলেও জনজীবন, সমাজ ও সমাকালের ভাবনা তার গানে বড় জায়গা পেয়েছে। বর্ষার রূপ, আশ্বিনের ঝড়, কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের কারনে মানুষের দুঃখ কষ্ট দরিদ্রতা হতাশা আর বানের অশান্ত ঢেউ, সমাজপতিদের করাল থাবা বাদ পড়েনি পাগলা কানাইয়ের গানে।

সরকারী কর্মচারীদের নিয়ে আদালত বিচার সালিশ, থানা পুলিশ নিয়ে পাগলা কানাইয়ের অসংখ্য গান রয়েছে। যে গুলো থেকে বেরিয়ে আসে কালের ইতিহাস আর দিনকালে কথা।

পাগলা কানাই ১৮০৯ সালে বাংলা ১২১৬ এর ২৫ শে ফাল্গুন ঝিনাইদহের লেবুতলা গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কানাইয়ের প্রকৃত নাম কানাই শেখ, বাবার কুড়ন শেখ, মায়ের নাম মোমেনা বিবি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কানাই সবার বড়। ভাইয়ের নাম উজ্জ্বল শেখ, বোন স্বরনারী। গ্রামের মক্তবে কিছুদিন পড়াশোনা করলেও চঞ্চল স্বভাবের জন্যে তাঁর লেখাপড়া বেশীদূর অগ্রসর হতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে তাঁর রচিত একটি গানের মধ্যে তাঁর স্বভাবসুলভ অভিব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায়।

“লেখাপড়া শিখব বলে পড়তে গেলাম মক্তবে
পাগলা ছ্যাড়ার হবে না কিছু
ঠাট্টা করে কয় সবে।
ছ্যাড়া বলে কিরে তাড়ুম তুড়ুম
মারে সবাই গাড়ুম গুড়ুম
বাপ এক গরীব চাষা
ছাওয়াল তার সর্বনাশা।
সে আবার পড়তে আসে কেতাব কোরান ফেকা
পাগলা কানাই কয় ভাইরে পড়া হল না শেখা।”

পাঠশালায় পড়াকালে তাঁর বাবা কুড়ন শেখ মারা যান। পিতৃবিয়োগের পর কানাইয়ের ঠাঁই হয় বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়বাড়িতে। বোনের বাড়ি গরুর পাল চরাতেন আর গান বাঁধতেন, তাতে সুর দিতেন। সুর দেওয়া হয়ে গেলে আপন মনে গলা ছেড়ে তা গাইতেন। উপস্থিত সবাই তাঁর গান মুগ্ধ হয়ে শুনত।

পাগলা কানাই

বেশিদিন মন টিকলো না সেখানে। গরু চরানো রেখে কাজ নেন মাগুরার আঠারখাদার জমিদার চক্রবর্তী পরিবারের বেড়বাড়ির নীলকুঠিতে। দুই টাকা বেতনের সেই খালাসির চাকরিও বেশি দিন করা হয়ে ওঠেনি। গানের টানে চাকরি ছেড়ে পথে বের হন আবার।

পুঁথিগত বিদ্যা না থাকলেও আধ্যাত্মিক চেতনায় জ্ঞানান্বিত হয়ে অপরূপ সৃষ্টি সম্ভার নিয়ে গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে দোতারা হাতে ঘুরে ফিরেছেন তিনি। তাঁর কণ্ঠের অনেক গান আজও উচ্চারিত হয় মানুষের মুখে। এই স্বভাব কবির সর্বাপেক্ষা পদচারণা ছিল ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। পরবর্তীতে তিনি ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে পাবনা ও সিরাজগঞ্জে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। পাবনার বিখ্যাত ভাবুক কবি ফকির আলীমুদ্দীনের সাথে তাঁর আন্তরিক সখ্যতা গড়ে ওঠে।এ সকল অঞ্চলের বিভন্ন আসরে গান বেঁধে বিভিন্ন ভঙ্গীতে পরিবেশন করে হাজার হাজার শ্রোতাকূলকে ঘন্টার পর ঘন্টা সম্মোহিত করে রাখতেন পাগলা কানাই। তাঁর জনপ্রিয় আধ্যাত্মিক গানের কয়েকটি লাইন।

“গেলো দিন
শুন মুসলমান মোমিন
পড় রাব্বুল আলামিন
দিন গেলে কি পাবি ওরে দিন
দিনের মধ্যে প্রধান হলো মোহাম্মদের দ্বীন”।

পাগলা কানাই একদিকে যেমন ইসলাম ধর্মের মর্মবাণীকে গানের মাধ্যমে প্রচার করেছেন তেমনি হিন্দু পুরাণ, রামায়ণ ও মহাভারত থেকে নানা উপমার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন তাঁর রচিত গানে। মরমী ও সুফিবাদের ভক্তি প্রকাশে পাগলা কানাই তৎকালীন বাংলার অন্যতম বাউল সাধক ছিলেন।

“কী মজার ঘর বেঁধেছে,
হায়রে ঘর বাইন্ধাছে দুই খুঁটির উপর।

পাগল কানাই বলে ভাই সকলে যখন আসবে ঝড়

ছয় রিপু ছেড়ে যাবে সারথী নাহি রবে

পড়ে রবে এইতো সাধের ঘড়”

কারবালার ট্র্যাজেডির করুণ মানবিক আবেদনের কারনে জাত ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকেই গভীরভাবে স্পর্শ করে থাকে। মাইকেল মদুসূদন দত্ত কারবালার ঘটনা নিয়ে মহাকাব্য রচনার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছিলেন। মীর মোশাররফ হোসেন রচিত ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপাখ্যানের আলোচনা প্রসঙ্গে অক্ষয়চন্দ্র সরকারও মোহাররমের ‘প্লাবনী করুণরসে,র’ কথা বলেছেন। বাংলা ভাষায় কারবালা কেন্দ্রিক এক বিশাল সাহিত্য ভান্ডার গড়ে উঠেছে। লৌকিক সাহিত্যেও কারবালার ঘটনা বিশেষ প্রেরণার আশ্রয় হয়েছে। মার্সিয়া সাহিত্য ও জারিগান এ ধারার লৌকিক প্রচেষ্টা।

জারিগান গায়কির তিনটি ঢং আছে। ছোট ছোট আকারে বিশেষ সুরে যে গান গাওয়া হয় তাকে বলে মর্সিয়া, আর বয়াতি আলাদা সুরে বিস্তৃতভাবে যে গান পরিবেশন করেন তাকে বলে জারিগান। এ ছাড়া ধুয়ার সুরে যখন ঘটনা প্রকাশ করা হয় তখন তাকে বলে ধুয়া গান। সেই সময়কার ধুয়াজারি গানের রাজ্যে রাজত্ব করেছেন পাগলা কানাই। তাঁর লেখা ও সুর করা গানগুলো  সাধারণ মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে প্রবলভাবে।

পাগলা কানাই

পাগলা কানাই এর মাজার।

জারিগান মূলত কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে অবলম্বন করে রচিত হয়।

এক ধরনের মাতম, শোকাচ্ছন্ন আবহ ও বেদনা বিধুর অনুভূতি জড়িয়ে থাকে জারিগানে। এ গীতশিল্প ইতিহাসকে যতখানি না অনুসরন করে তার চেয়ে বেশি অবলম্বন করে কল্পনা আর মানবিক উপলদ্ধিকে। তবে কাহিনীগত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পদকর্তার শিল্পপ্রতিভার গুনে জারিগান অনেকক্ষেত্রে হৃদয়স্পর্শী লোকশিল্পে পরিণত হয়। পাগলা কানাইয়ের জারিগানে এই বৈশিষ্ট্যের পরিচয় মেলে।

কারবালার মানবিক বিপর্যয়ের একটি প্রধান অনুষঙ্গ এজিদ বাহিনীর ফোরাত অবরোধের কারণে হোসেন পরিবারে নিদারুণ জলকষ্ট। জলতৃষ্ণা নিবারণের প্রয়াস এজিদ বাহিনীর নির্মমতায় কিভাবে ব্যর্থ হয়ে যায় তার বিবিরণ আছে কানাইয়ের জারির পদে।

“আরে পুত্র লইয়া পুত্র কোলে যায় দরিয়ার কেনারে

এজিদ গোলাম তীর মারে বুকে

আবার মরা পুত্র নিয়ে দিল কদভানু বিবির কোলে

পুত্র দেখিয়া বিবিরা সব টলিয়া পড়ে

আহা দুখিনীর ধন মারলি কে?

দুখিনীর ধন মারলি এজিদ তীর মা’রে বুকে”

অন্তিমকালে হোসেন তার ঘোড়াকে লক্ষ্য করে আবেগ গাঢ় ভাষায় বলেনঃ

“ও আমার মায়ের আগে কইয়ো সমাচার

তোমার বেটা হোসেন আলী

সে যে ফিরে না আসিবে আর।”

অসহায় হোসেন পরিবার, পতিহারা সখিনার হাহাকার, জয়নালের উদ্ধার প্রচেস্টার বিবরণ থেকে এজিদের অন্তর্ধান পর্যন্ত কারবালার কাহিনীর আরো অনেক অধ্যায় উঠে এসেছে পাগলা কানাইয়ের গানে।

বিবি ফাতেমার পুত্র শোককে তুলনা করেছেন কৃষ্ণজননী দৈবকীর সঙ্গেঃ

“ও যেমন দৈবকীনীর কৃষ্ণহারা

ও দুঃখে মায় পাগলপারা

ও চক্ষে না রয় ধারা,

ও গোপাল উদরে রাখলাম

ও চন্দ্রমুখ না দেখিলাম

ও প্রাণ থাকতে থাকতে পাষানের গায় জ্যান্ত মরা

ও বুঝি সে দশা আমার হলো,

কেন ইমাম ছেড়ে গেল

ইমাম শোক, আগুন র’লো মায়ের বুকে পুরা।।”

আবার পুণ্যনগরী মদিনার তুলানা করেছেন বৈষ্ণবতীর্থ নবদ্বীপের সঙ্গে-

এ প্রসঙ্গে কবি জসীমউদ্দীন লিখেছেনঃ

“এইরূপ রচনা রীতি শুধু পাগলা কানাইয়ের কবিকর্ম নয়, আমাদের দেশের অধিকাংশ পল্লীকবিই পৌরাণিক কাহিনীর মধ্যে মানবিকতার আরোপ করিয়া সেই কাহিনীকে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের রসের সামগ্রী করিয়া তুলিয়াছেন।”

ধুয়া গান জারিগানেরই প্রক্ষিপ্ত অংশ এবং এক অর্থে পরিপূরক।

এই ধুয়া গান আবার নবীতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, প্রেমতত্ত্ব, ইমামবিচ্ছেদ, পাটনীর ধুয়া, লীলাকারি ইত্যাদি নানা ভাগে বিভক্ত।

“সালাম সালাম সালাম রাখি দেশের পায়।
পয়লা সালাম করি আমি খোদার দরগায়
তারপর সালাম করি নবীজীরে
যিনি শোয়া আছেন মদিনায়
ওরে সালাম করি ওস্তাদের আর সালাম পিতা-মাতার
অধম আমি পাগলা কানাই এলাম চাঁদ সভায়
আল্লা তরাও হে আমায়।”

আসর বন্দনায় আল্লাহ রসূলের পর নবি দুহিতা বিবি ফাতেমার স্তুতিও গুরুত্ব সহকারে বিবৃত হয়।

ধুয়ার একটি বিশিষ্ট পর্ব লীলাকারী ধুয়া। রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলাই মূলত এর উপজীব্য।

“পাগলা কানাই বলে- প্রেম বিচ্ছেদে প্রেমের জ্বালায়

সখি রে আমার প্রাণ তো বাঁচে না।

আসি বলে গেল মথুরায় আর তো ফিরে এলোনা।

আমার প্রাণে প্রবোধ মানেনা।”

ধুয়া জারির ধারক কানাই শেখ পালাগান, জারিগান রচনা করে, গেয়ে এলাকায় পরিচিত হয়ে ওঠেন। যখন-তখন শ্লোক বানিয়ে বলতে পারতেন। কথার পিঠে কথা লাগিয়ে তাৎক্ষণিক গান শোনাতে পারতেন। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে একের পর এক গান রচনা করতে পারতেন। পালাগান বেঁধে সুর করে তা মনে রাখতে অসুবিধা হতো না তাঁর। বহু পালাগান এভাবে মনের মধ্যে গেঁথে রেখেই শ্রোতাদের শোনাতেন।

আসরের শেষ পর্যায়ে গীত হয় প্রশ্নমূলক ধুয়া। আসীম বুদ্ধিমত্তার অধিকারী কানাইয়ের সেসব ধুয়ার জটিল ধাঁধার ভেধ ভেঙ্গে প্রতিপক্ষকে গলদঘর্ম হতে হতো। এইভাবে পাগলা কানাই নিজেকে ধুয়া-জারির অপ্রতিদ্বন্দ্বী রূপকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

কানাই ধুয়া-জারির প্রবর্তক না হলেও এ গীতধারাকে তিনি যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যান এবং তিনিই যে এই ধারার শ্রেষ্ঠ জাদুকর সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

পাগলা কানাইয়ের শিল্প শক্তি ও তত্ত্বজ্ঞানের প্রতিফলন দেখা যায় তার দেহতত্ত্বের অনেক গানে। তিনি যে দীক্ষিত বাউল কিংবা সমধর্মী কোন মরমী লোক-সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তার হদিস ও মেলেনা। তার দেহতত্ত্বের পদের ভূমিকায় গুরুর উল্লেখ নেই। তবে তার এই পর্যায়ের গান গুলো বিশ্লেষণ করলে অনুভব করা যায়, কোন মরমী প্রেরণা ব্যতীত এমন উচ্চাঙ্গের তত্ত্বকথার উপলদ্ধি ও প্রকাশ সম্ভব নয়।

পাগলা কানাইয়ের গুরুতত্ত্বের পদের সংখ্যাও কম নয়। অনেক গানেই আছে গুরু মাহাত্ম্য, মুর্শিদ বন্দনা। যেমন-

“ভবপারে যাবি রে অবুঝ মন, আমার মন রে রসনা,

দিন থাকিতে সাধন ভজন করলে না।”

আবার,

“মুক্তি কিসে হবে গো জীবের ভক্তি বিহনে

ভক্তি হইছে অমূল্য ধন গুরুর কাছে লও গা জেনে।

গুরু হয় জ্ঞানের দাতা, সে জানে মর্মব্যথা

গুরু বিনে আর কে জানে?”

শিষ্যদের নিয়ে যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহী, বগুড়া অঞ্চলে গান গেয়ে বেড়াতেন। তাঁর শিষ্যদের মধ্যে কালাচাঁদ বয়াতি, হাকিম শাহ, করিম বিশ্বাস, ইন্দু বিশ্বাস ও করমদ্দী ছিলেন প্রধান। তিনি মূলত দেহতত্ত্ব বিষয়ক মরমি ও ভাবগান রচনা করলেও দেহতত্ত্ব, গুরুতত্ত্ব, যোগতত্ত্ব, সংসারের অনিত্যতা, জীবনরহস্য, নবীতত্ত্ব , কৃষ্ণবন্দনা সহ মরমী গানের সকল ধারার ছিল তার সাবলীল বিচরণ। পাগলা কানাই সম্পর্কে কাঙাল হরিনাথ (১ম খণ্ড) গ্রন্থে জলধর বাবু পাগলা কানাই সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘কানাই-এর গান শুনলে লোকে পাগল হইয়া যায়।’

“কত ফকির বৈষ্ণব আছে রে ভাই সেই ঘরের ভিতর

পাগল কানাই বসে বাংলা ঘরে সদায় করে ভয় আমার।

সে ঘরের সারথীর নাম মন পবন তাই শুনিলাম।

ঘরের মধ্যে ষোলজনা করতেছে কারবার।”

এই মরমী গীতিকবি ১৮৮৯ (বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ়) সালে দেহ ত্যাগ করেন।

ঝিনাইদহের বেড়বাড়িতে আছে কবি পাগলা কানাইয়ের বসত বাড়ি। ঐ এলাকাকেই এখন লোকে পাগলা কানাই নামে চেনে। সেখানে নির্মিত হয়েছে পাগলা কানাইয়ের নামে পাঠাগার, সংগীত শিক্ষাকেন্দ্র, মিলনায়তন, সমাধি ও কবির একটি আবক্ষ ভাস্কর্য। প্রতিবছর কবির জন্মবার্ষিকী ও তিরোধান দিবসে তিন দিনব্যাপী স্মরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন, মাযহারুল ইসলাম, আবু তালিব, আমিন উদ্দিন শাহ, দুর্গাদাস লাহিড়ী, উপেন্দ্রনাথ ভট্রাচার্য প্রমুখ মহাজনরা পাগলা কানাইয়ের গানের সংগ্রহ ও গবেষণা করেছেন। এ পর্যন্ত কবির রচিত চারশতাধিক গান সংগ্রহ করা গেছে। তবে বড় ধরণের পরিচিতি আমরা লক্ষ্য করিনি আজও। তৎকালীন সামাজিক প্রতিকূলতার প্রেক্ষাপটে মানুষের জন্য বাংলার ভাবদর্শনে মরমীবাদের উৎকর্ষ সাধনে পাগলা কানাই কি দিয়ে গেছেন দুইশো বছর পরে হলেও আমাদের সেই ভাবনার সময় ফুরিয়ে যায়নি।